শিরোনাম
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি কে চায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ৫ দফা দাবিতে রাজধানীতে ২০ কিলোমিটার সড়কজুড়ে জামায়াতের মানববন্ধন মার্চ টু সচিবালয়’ ঠেকাতে শিক্ষা ভবন মোড়ে শক্ত অবস্থানে পুলিশ ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর, বায়ুদূষণে বিশ্বে চতুর্থ স্থানে রাজধানী মার্কিন ভ্রমণার্থীদের উপর ১০ হাজার ডলার ভিসা বন্ড বাধ্যতামূলক করল মালি ব্রাজিলে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন প্রিন্স উইলিয়াম ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌনে ১২ লাখ শিশু পাবে টাইফয়েডের টিকা বাংলাদেশ বনাম হংকং : শক্তির হিসাব নাকি আত্মবিশ্বাসের লড়াই? বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য বিষয়ক দূতের বৈঠক দেশের সব বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি

জাতিসংঘের জলবায়ু আলোচনায় চীনের গুরুত্ব

রিয়াজ উদ্দিন
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৪ বার

জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে বুধবার চীনের নির্গমন-হ্রাসের প্রতিশ্রুতি কেন্দ্রবিন্দুতে স্থান পাবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গ্রহ-উষ্ণায়ন জীবাশ্ম জ্বালানি সম্পর্কিত বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছেন।

জাতিসংঘ থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

বহু দেশ তেল ও গ্যাস কার্যক্রম সম্প্রসারণ অব্যাহত রাখলেও প্রায় ১১৮টি দেশ বিশ্ব উষ্ণায়ন রোধে পরিকল্পনার রূপরেখা তৈরি করবে।

এই উষ্ণায়ন বিশ্বব্যাপী দুর্যোগ ডেকে আনছে। এটি পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যা থেকে শুরু করে স্পেনে ভয়াবহ দাবানল পর্যন্ত, প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর জন্য দায়ী।

চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে সমাবেশের উদ্বোধন করবেন।

চীন  তার কারখানা, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, যানবাহন ও আরও অনেক কিছু থেকে বিশ্বব্যাপী গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের প্রায় ৩০ শতাংশের জন্য দায়ী।

চীন ২০৩৫ সালের নির্গমন-হ্রাসের লক্ষ্য নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ আপডেট প্রদান করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চীন কখনই সরাসরি কার্বন ডাই অক্সাইড হ্রাস করার প্রতিশ্রুতি দেয়নি। এর পরিবর্তে, দেশটি ২০৩০ সালের আগে নির্গমনের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সৌরশক্তি ও বৈদ্যুতিক গাড়ির দ্রুত বৃদ্ধির কারণে পাঁচ বছর আগেই লক্ষ্য পূরণ হবে বলে মনে হচ্ছে।

ঐতিহাসিকভাবে উষ্ণায়নের সবচেয়ে বড় অবদানকারী বেশিরভাগ ধনী দেশ কয়েক দশক আগে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জনের জন্য তাদের কোনও বিশ্বাসযোগ্য পরিকল্পনা নেই।

বেইজিংয়ে সুসংযুক্ত এশিয়া সোসাইটি থিঙ্ক ট্যাঙ্কের বিশেষজ্ঞ লি শুও এএফপিকে বলেন, ‘সকলের দৃষ্টি চীনের দিকে থাকবে।’

তিনি আগামী দশকে ‘একক অঙ্ক থেকে নিম্ন দ্বি অঙ্ক’ শতাংশ হ্রাসের প্রতিশ্রুতির আশা করেন, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের নিজস্ব শীর্ষে পৌঁছানোর দশ বছরে যে গতি অর্জন করেছিল, তার অনুরূপ।

তবে এই গতিপথ সবচেয়ে খারাপ জলবায়ু বিপর্যয় এড়াতে ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তিতে নির্ধারিত লক্ষ্য প্রাক-শিল্প স্তরের ওপরে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণায়ন সীমাবদ্ধ করার জন্য যা প্রয়োজন, তার থেকে অনেক কম হবে।

তবুও, ব্রাজিলের বেলেমে বছরের প্রধান জলবায়ু সমাবেশ, কপ-৩০-এর আগে একটি লক্ষ্য উপস্থাপন করা, আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়ার প্রতি চীনের প্রতিশ্রুতির ইঙ্গিত দেবে। এমনকি ট্রাম্পের অধীনে জীবাশ্ম জ্বালানিতে চ্যাম্পিয়ন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  ও ইইউ তার পরিকল্পনার চারপাশে একত্রিত হওয়ার জন্য চেষ্টা করছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
© 2019, All rights reserved.
Developed by Raytahost