কৃষি বিভাগ জানায়, সাম্প্রতিক বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে ১ হাজার ১৩৭ হেক্টর জমির রোপা আমন, ১৫০ হেক্টর জমির শাক-সবজি ও ৫৯ হেক্টর জমির মাসকলাই। দ্রুত পানি নেমে যাওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা কম হয়েছে। তার পরেও পুরোপুরি ১৫০ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে আনুমানিক ৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকার মতো। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা প্রায় দুই হাজার।
কৃষকরা জানান, এ বছর অসময়ের বন্যায় সব ফসল নষ্ট করে দিয়েছে তাদের। এমন পরিস্থিতিতে সরকারি সহায়তা কামনা করছেন তারা।
কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছি ইউনিয়নের ধরলা নদীর অববাহিকার কৃষক এরশাদ আলী বলেন, এ বছর আমন আবাদের সময় বৃষ্টি ছিল না। তাই আমরা সেচ দিয়ে জমি তৈরি করে আমন রোপণ করি। পরে কয়েকদিন পর বন্যার পানি এসে আমার ১ বিঘা জমির ফসল নষ্ট করে দিয়ে গেছে। এখনও জমিতে পানি, কি করবো এ জমিতে নিয়ে বুঝতে পারছি না।
আরেক কৃষক তাজুল ইসলাম বলেন, আমারও রোপা আমন ধান পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। পানি তাড়াতাড়ি নামার কারণে এখন জমিতে মাসকলাই ছিটিয়েছি। আমরা যারা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আছি তাদের পাশে যদি সরকার দাঁড়ায় তাহলে ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, দ্রুত পানি নেমে যাওয়ার কারণে ক্ষয়ক্ষতি কিছুটা কম হয়েছে। তার পরেও যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের তালিকা করা হয়েছে। সরকারি ভাবে তাদেরকে সহযোগিতা করা হবে।
Leave a Reply